" চুইয়ে পরা এড্রেনালিনের বোঝা বয়ে বেড়ায় ভারাক্রান্ত বয়স ,
থাইরয়েড আর প্যারোটিডে বিভেদ ভুলে গেছে অনাহারী ব্যাং ।
মাথায় জুতোজোড়া গলিয়ে দিব্যি বেঁচে বিশ্বাস দু পায়ের মগজে,
প্রতি রাতে মশারী টাঙিয়ে ঘুমোই শুধু দুর্নীতি কামড়াবে না বলে। "
-
শকুনের দুর্গন্ধের উৎশবে চারদিক আজ বিভোর !!
আর ,
আমরা বরং বেঁচে থাকি ধর্ষনের নির্লজ্জ দর্শক হয়ে !!
-
আষাঢ় মাসের ভাসার বেলায়
গর্জায় মেঘ তাহার বাহার,
কাজল আঁখির সজল রেখায়
ভাষায় আকার তেমন প্রকার।।
-
চারিদিকে শুধু হাহাকার আর বেকারের নাম শিক্ষিত
উদভ্রান্ত শ্রমিকের কথা বলে পথ ভ্রান্তির দিনে শিক্ষা,
শিক্ষিত যারা অতিথি, আসে তারা শিক্ষার ঝোলা বয়ে
আপন গৃহের দোরে,বেশ হাকডাক স্বরচিত নাম ধরে।
পথে যারা বসে দুই টাকা দরে পসারে সাজায় কাগজ,
বিকোনো মগজে গিলে খায় তারা ট্যাবলেটে মোড়া বিদ্যা।
ব্যাথার জ্বালায় তুমিও লুপ্ত নিয়মভাঙ্গা খদ্দেরদের ভিড়ে,
পথিক ছিলে তবু নেয়নি তো কেউ তোমার তুমির খোজ।
সমাজের চোখে ধূলিঝড় তবু বেঁচে কত পোকামাকড়ের দল
জীবনের খোঁজে কালবৈশাখে ভেজা কালো মেঘ আর তারাদের ঢল।
অনাহারে বসা মশা মাছিদের ডাকে হাসিমুখে বসে রক্ত মাংসে মেলা,
রাজনীতি তুমি প্রিয়তম প্রেমগাঁথা, তবু ঠিক যেনো তুমি চাকরীর মত নও।
-
অবয়ব
ট্রেনটি স্টেশনে থামতেই চটপট দুই বোন উঠে যায় কামরায়। বিবাহিত দিদিকে ট্রেনে তুলে দিয়ে প্ল্যাটফর্মে দরজার কাছে নেমে দাড়ায় দশ বারো বছরের ছোটো বোনটি। দিদিও ট্রেনের গেট থেকে চেয়ে থাকে পরম স্নেহের ছোটো বোনটির দিকে। বেশ খানিকক্ষণের নীরবতা, তারপরেই ট্রেনের হুইসেল বাজে, ট্রেন এগোতে থাকে ধীরগতিতে। দিদিও হাত নেড়ে বিদায় জানায়। ছলছল চোখে চেয়ে থাকে দুই বোন একে অপরের দিকে । স্টেশনের হালকা আলোয় বা চোখের কোণে একফোঁটা জল টলমল করে ওঠে ছোটো বোনের। হয়ত পরেও যায় খসে। সে জলের শব্দ হয় কি ? শোনা যায় না। গ্রাম্য স্টেশনটিকে পেছনে রেখে ডিজেল ইঞ্জিন ততক্ষণে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে গন্তব্যের দিকে। ট্রেনের ভেতর চোখ মোছে দিদি। স্টেশনের চারপাশের গাঢ় কুয়াশায় ক্রমশ বিলীন হয় সুদীর্ঘ হতে থাকা এক ছায়ামূর্তি ।-
বুঝেও বুঝিনা আমরা,
ইতিহাস তৈরী করতে করতে দেশের ইতিহাসটাই
অতীতে হারিয়ে গেছে ...।-
" বেলাশেষে ঘরে ফেরার এক অদ্ভুত নৈসর্গিক তাড়া। যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক যেমন শেষ ক্রন্দনে জননীর মাঝে আশ্রয় খুঁজিতে থাকে ঠিক তেমনিভাবে বিধাতাও পাষাণ রূপ ধারণ করিয়া ধরিত্রীর বুকে মৃত্তিকার স্নেহ খুঁজিতে থাকে। সংসারে অহংকারের স্থান পোড়ামাটির কলসির মতন , উত্তম কঠোর হইয়াও অন্তিমকালে জীর্ণ হইয়াই উহার পরিসমাপ্তি ঘটে ।। "
-