Ramanuj Banerjee   (Ramanuj Banerjee)
24 Followers · 18 Following

আমি আজকাল ভালো আছি..তোকে ছাড়া রাতগুলো আলো হয়ে আছে...
Joined 3 January 2018


আমি আজকাল ভালো আছি..তোকে ছাড়া রাতগুলো আলো হয়ে আছে...
Joined 3 January 2018
20 FEB AT 20:21

বসন্ত ছুঁলো আজ বিকেলটাকে,
গল্প বাকি রাতপরীদের,
তোমার শহরে এখন অকাল বৃষ্টি..
ভিজুক মন অল্প দায়সারায়
হাওয়া দিক মনকেমনের।

-


7 FEB AT 22:03

শহরে শীত শেষের হাল্কা আদুরে ছোঁয়া, অনেক
মাস পরে জায়গাটা যেন আপনাআপনিই ডেকে নিলো দীপ্তকে। প্রায় মলিন হয়ে আসা হলদেটে ঝরাপাতাগুলো এখনও কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে আলো-আঁধারী ঘেরা ফুটপাতে,ঠিক যেমনটা থাকতো বছরখানেক আগে। কিছুদুরে The 42এর আবছায়া সিল্যুয়েট,সেই চেনা চলমান আলোকবিন্দুর মিছিল। টিমটিমে সেজবাতির কম্পমান আলোকরেখার উষ্ণতাকে সঙ্গী করে রিনরিনে শব্দ ছড়াচ্ছে দিনশেষের ঘটিগরমওয়ালা,আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চায়ের দোকানগুলোর ঝাঁপ। শহর রাতের চাদর গায়ে দিচ্ছে। ইতস্তত বিক্ষিপ্ত আগুনপোহানোর দল ফিরে চলেছে নিজেদের ছোট্ট আস্তানায়।পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে শুকনো পাতার রাশি।
পুড়ছে তো একটা মনও, কিন্তু সেই পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় যে ধোঁয়া ওঠেনা, দেখা যায়না হলদে আভা, অপ্রকাশিত গল্পের মতোই হেরে যাওয়া এক মানুষের দীর্ঘশ্বাসগুলো পরে থাকে এক কোনের পাণ্ডুলিপিতেই। বিবর্ণ হতে থাকে অযত্ন-অবহেলার ধুলোয়,হৃদপিন্ডের নিলয়-অলিন্দে জমতে থাকে নিকোটিনের বিষ।
সোনালী রোদের সকালের স্বপ্ন দেখা, বৃষ্টিকে ভালোবাসা,একটা সজীব প্রাণ অকালেই নুইয়ে পরে অবহেলার সাইক্লোনে,তবুও শূন্য থেকে যায় তার ভালোবাসা ভিক্ষার ঝুলিটা,মন ভাঙার শব্দ হয়না,বলে হয়ে ওঠেনা হেরে যাওয়ার গল্পটা ..নিভে আসা প্রদীপের মতোই তাই শেষ বার জ্বলে ওঠে এক বিদ্রোহী কলম।কাঁপা হাতের ছোঁয়ায় লিখে যেতে চায় তার "শেষের কবিতা।" [ক্রমশঃ]

-


15 OCT 2023 AT 0:52

" নেমেসিস "
২০২২
-কিগো এবারও কি পুজোয় সেই একই রুটিন?আর
কদিনই বা বাকি? মার্কেটিং করবে টরবে না নাকি?
- এক কথা কেনো বলো বলোতো সেই প্রত্যেকবার,
I hate shopping, আর তুমি জানোই তো এই
ভিড়ে বেরোলে আমার প্রচন্ড claustrophobic
লাগে। আমার পোষায় না just,plz
- আর পুজোয় বেরোনো?সেটাও কি সম্ভব নয়?
সেই তোমার অফিস, বন্ধু আর বাড়ির পুজো?
আমার বা আমাদের জন্য সময় নেই তাই তো?
একদিন ইচ্ছে থাকলে কিছুক্ষন সময় তো বের
করতেই পারো,আসলে ইচ্ছেটাই নেই,অজুহাত।
- যা ভাববে, সব জেনেও যদি না বুঝতে চাও আমি
আর কি বলবো বলো?
- ঠিক আছে তোমার জেদ ই বজায় থাকে,যাও
বেরোতে হবে না।
২০২৩
ইচ্ছেগুলো, প্রশ্নগুলো প্রায় একই ধরনের আছে।
Replace হয়ে গেছে প্রশ্ন করার আর উত্তর
দেওয়ার মানুষগুলো।
এযুগের অসুরেরা স্বর্গ আক্রমণ করেনা,
বরং কারোর মনের গভীরে গড়ে ওঠা এক আকাশ স্বপ্নকে দুমড়ে মুচড়ে আক্রমণ করে তার সত্ত্বাকে,
ভেঙে চুরমার করে দেয় তার সযত্নে গড়ে তোলা
স্বপ্নের ইমারৎ টাকে, কিন্তু সেই অন্যায়ের শাস্তি দিতে
এযুগেও আভির্ভুতা হন তিনি, হয়তো অন্যরূপে,
অন্য সাজে। ফিরিয়ে দেন শতগুনে।
[ শুভ দেবীপক্ষ ]

-


10 OCT 2023 AT 2:02

যদি পুনর্জন্ম বলে কিছু থেকে থাকে, তাহলে
আমি তোমায় অভিশাপ দিলাম "তুমি আমি
হয়ে জন্মাও।"তোমায় ভালোবেসে বোকা হয়ে
যাওয়া,তোমার ভালোবাসার জন্য দিশেহারা
মানুষটা হয়ে জন্মাও,সে জন্মে তুমিও হাড়ে
হাড়ে টের পাও আপন মানুষটার কাছের
মানুষ না হতে পারা কতোটা যন্ত্রনার,তুমিও
টের পাও কয়েকশো কথার উত্তরে ছোট ছোট
Message গুলো দেখতে কেমন বিচ্ছিরি লাগে।
সে জন্মে তুমিও বুঝতে পারো অপেক্ষা করতে
হয় কিভাবে? অবহেলার স্বাদ কেমন!ছোট ছোট
দুঃখগুলো কেমন ভয়ানক হতে পারে,কারোর
কাছ থেকে স্বান্তনা না পেয়ে তার বিরক্তি হতে
কেমন লাগে?যদি পুনর্জন্ম বলে সত্যিই কিছু
থাকে তুমি টের পাও কারোর ভালোবাসা পাওয়ার
জন্য আকুল হতে কেমন লাগে, তুমিও আমার
মতোই ক্ষয়ে যাও ভিতরে ভিতরে, মরে যাও
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে!কারোর বুকে
মাথা রেখে তুমিও কাঁদো এই আক্ষেপে যে
" ও আমায় ভালোবাসেনি কেনো? " পরজন্ম বলে কিছু থাকলে তুমি আমি হয়ে জন্মাও "
W.C [ চিঠি] "

-


2 OCT 2023 AT 1:30

"এভাবেও ফিরে আসা যায় "
ঘুম ভাঙতেই মনটা খুশিতে ভরে উঠলো আজ, জানলার বাইরে দিয়ে দেখা যাচ্ছে একঝাঁক ধূসর মেঘ,পাশের ব্যালকোনিটা দিয়ে ছুটে আসছে একমুঠো দামাল ঠান্ডা হাওয়া,একপশলা বৃষ্টি মনে হয় কিছুক্ষন আগেই হয়ে গেছে,গাছের পাতা থেকে ঝরে পড়ছে অশ্রুকণার মতনই জলের ফোঁটা,ঘুম চোখে পাশের কম্পিউটার টেবিল থেকে ফোনটা তুলে নেয়,ওপারে caller tune বেজে ওঠে "thanku for calling....."সেই পুরোনো ঘুম জড়ানো গলা ভেসে আসে "কি হয়েছে? ঘুমাতে দাও, রাত ৩টেয় ঘুমিয়েছি।"
-'বেরোবে আজ?"
-'কখন?আমার নয় ক্লাস নেই,তোমার অফিস?'
-'ছুটি নিয়ে নি?এরম weatherটা miss করবো?'
-'কোথায় যাবে?গাড়ি নিয়ে যাবে? "
-"সে দেখা যাবে,না ট্রামে।চলো ready হও।"
-"hmm,হচ্ছি, উঠি আগে।"
একটা অদ্ভুত অনুভূতি হলো দীপ্তর,আসলে দরকষাকষিতে অভ্যস্ত সে ভুলেই গেছিলো স্বাভাবিকটা কি..ভালোবাসা যখন দুদিক থেকেই ফিরে আসে, তখন বাকি সব কিছু ম্লান হয়ে যায়, বাস্তবতার মোড়ক লাগানো excuse গুলো তার মনে পরে যায় হঠাৎ করেই, মনে পরে যায় কারোর কান্নাভেজা কাতর আকুতিগুলো। পুজোর শেষ লগ্নে ঢাকের আওয়াজে যখন বিদায়ের সুর ধ্বনিত হচ্ছিলো তখন আরও একটা সুর ভেসে এসেছিলো -"আজ আমায় একটু নিয়ে বেরোবে?"ছোট্ট ছোট্ট ইচ্ছেগুলো সে তার তখন রাখতে পারেনি, 'চাঁদের পাহাড়ের' শঙ্করের মতোই আস্ত হীরের খনির মালিক হয়েও সে ভেবেছিলো 'শুধুই জলধারার পাশে পরে থাকা নুড়িপাথর।" [ক্রমশঃ ]

-


7 SEP 2023 AT 1:25

[প্রথম পর্বের পর ]
২০১৬, বর্ষাকাল। সারাদিন টিপটিপ বৃষ্টির পরে রাত প্রায় ১০টা থেকে আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা, মুষলধারে বৃষ্টির সাথে সাথে বিদ্যুতের অবিরাম গর্জন আর সঙ্গ দিচ্ছে এলোমেলো ঝোড়ো
হাওয়া, জানলার খড়খড়ি মাঝে মাঝেই জানান দিচ্ছে বাইরের বেসামাল প্রকৃতির তান্ডবলীলা। দীপ্তর ফোনে ফোন আসে অজানা নম্বর থেকে, ওপার থেকে ভেসে আসে হিয়ার কান্না জড়ানো কণ্ঠস্বর "তোর কাছে ফিরতে দিবি আমায়?"হঠাৎ যেন বাইরের বৃষ্টির আওয়াজ, হাওয়ার দাপট, ঘরের wind chimes এর টুংটাং আওয়াজ থেমে নেমে আসে এক অপার্থিব নিস্তব্ধতা। এই এতো বছর মনে মনে এই মুহূর্তটার জন্যই তো অপেক্ষা করছিলো দীপ্ত-হিয়ার ফিরে আসবার। সে প্রশ্ন করে কিন্তু তোর এতো বছরের সম্পর্কটার কি হবে?"এক কথায় উত্তর আসে "আমায় কেউ আটকাতে পারবেনারে আর,"। কিন্তু ঠিক তখনই তার চোখে ভেসে ওঠে একটা সহজ সরল ছেলের মুখ, যে তার সবকিছু দিয়ে ভালোবেসেছে হিয়াকে, আগলে রেখেছে এই এতগুলো বছর তার বুক দিয়ে, কি করে দীপ্ত তার কাছ থেকে তার বেঁচে থাকবার সম্বলটাকেই কেড়ে নিতে পারে? সে পারবেনা ছেলে হয়ে আর একটা ছেলের এতো বড়ো ক্ষতি করতে।
বাইরের বৃষ্টির ফোঁটা তখন ছোঁয়াচে হয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে দীপ্তর দুটো চোখ, জীবনের সবথেকে ভালোবাসার মানুষটাকে ফিরে পেয়েও সে ফিরে আস্তে দেয়না। কেঁপে ওঠা গলাটাকে সামলে সে বলে "নারে আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি"।— % & সেই দুপুরটার মতন ধুলোর ঝড় হয়তো বয়নি সেদিন, কিন্তু একরাশ ঠান্ডা হাওয়া তার মাথা ছুঁয়ে যেন তাকে আর্শীবাদ করে গেছিলো। রাত প্রায় তিনটে তখন, বৃষ্টির আওয়াজকে ছাপিয়ে কানে ভেসে আসে সামনের চক্ররেল স্টেশনের মালগাড়ির তীক্ষ্ণ হুইসেল,ঘরের আলোটা যেন দপ করে ওঠে ভোল্টেজ কমার অজুহাতে।একটা সিগারেট ধরায় সে।
কোনো কোনো সময় ভালোবাসাকে দূরে সরিয়ে দিতে হয়, তার ভালোর জন্যেই, তার ভালো থাকবার জন্য। বাইরের পুরো সমাজের কাছে 'playboy', 'loose character' আখ্যাও পেতে হয়, তাও ছেড়ে যেতে হয় সব মায়া কাটিয়ে। পৃথিবীর কাছে তৈরী করতে হয় এক ঋণাত্বক প্রতিচ্ছবি।সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো চিরতরে হারায়না, হারাতে পারেনা, পাশে না পেয়েও অনুভব করা যায় প্রিয় মানুষটার উপস্থিতি সব জায়গায়। কফি হাউসের কোনো বৃষ্টিস্নাত বিকেলে, নিউ মার্কেটের ব্যস্ত কেনাকাটায়, গঙ্গার ধারের কোনো মায়াবী সূর্যাস্তে, সদ্য শীত নামা ময়দানের আলো-আঁধারি রাস্তাটায়, নন্দনের ঝর্ণার পাশের বেঞ্চটায়,আর কখনো বা উত্তর কলকাতার কোনো পাড়ার কোনো সরু গলির সদ্য জ্বলে ওঠা হলদেটে bulber আলোয়।
ভোর হচ্ছে, সমস্ত অন্ধকারকে মুছে দিয়ে আস্তে আস্তে আলো ফুটে উঠছে, হিয়ার সেই ভাইকে দিয়ে পাঠানো চিঠিটার শেষ লাইনটা মনে পড়ে যায় দীপ্তর "যতটা অবহেলা আর কষ্ট দিলে, একদিন না একদিন ঠিক সেটা অন্য কারোর কাছ থেকে ফেরত পাবেই "। [ক্রমশঃ ]— % &

-


4 SEP 2023 AT 0:29

২০১১-পয়লা বৈশাখ,উত্তর কলকাতার এক পুরোনো পাড়ায় এক মাটির বাড়িতে জানলার ধারে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলেছে লম্বা-দোহারা এক কিশোরী,তাকে আজ তার সবথেকে প্রিয় মানুষটাকে হয়তো চিরদিনের মতন ছেড়ে চলে যেতে হবে। চোখের জল মুছে তাড়াতাড়ি একটা চিঠি লিখে হিয়া ভাইকে দিয়ে পাঠিয়ে দেয় নির্দিষ্ট একজনের কাছে।
সেই প্রথম ক্লাস11 এ বুকের বাঁ দিকে কেমন একটা খালি খালি লেগেছিলো দীপ্তর।একটা কেমন ধুলো ওড়ানো হাওয়া বয়ে গেছিলো সেই দুপুরটায়,বিকেলের খেলার মাঠটাও যেন হিয়ার না বলে যাওয়া অভিমানগুলোকে সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিলো প্রত্যেকটা ঘাসের মধ্যে।অতো পাত্তা দেয়নি দীপ্ত,তার প্রথম ভালোবাসাকে সে খুব সহজেই হারিয়ে যেতে দিয়েছিলো।স্কুল-কোচিং ,খেলা, বন্ধুবান্ধবে মেতে থেকে সে একবারের জন্যও ঘুরে তাকায়নি।
২০১৫- অষ্টমীর কফি-হাউস,আবার মুখোমুখি বসেছিল তারা,ছোটবেলার বন্ধুদের alumni টাইপ সাক্ষাৎ,হিয়া মজা করে বলেছিলো "কিরে এবার তো settle হ কারোর সাথে,আর কতদিন playboy হয়ে থাকবি?" তোর শেষ স্টপেজ টা যে কোথায় ভগবানই জানেন "হেসে কথাটা উড়িয়ে দিয়েছিলো দীপ্ত।
অজস্র সম্পর্ক,অজস্র বিচ্ছেদ,অজস্র অভিশাপ কুড়িয়েও দীপ্ত বলতে পারেনি-যে সে কারোর মধ্যেই হিয়াকে খুঁজে পায়নি,সেই অভিশপ্ত দুপুরটা তাকে আর কাউকে ভালোবাসতেই দেয়নি।এই এতগুলো বছর সে এমন একজনকে চেয়েছে যে তাকে সেই দুপুরের ক্রন্দনরত কিশোরী টাকে ভুলিয়ে দিতে পারবে, কিন্তু কেউ যে পারেনি। [ক্রমশঃ]

-


2 SEP 2023 AT 1:45

স্বপ্ন-ভঙ্গের উত্তরে -
তিলোত্তমার অলিতে গলিতে একসাথে হেঁটে হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন, বাড়ির পুজোয় একসাথে অঞ্জলি দেওয়ার স্বপ্ন,দশমীর সিঁদুর গালে মেখে একসাথে সেলফি তুলে ফেসবুকে শুভ বিজয়া লেখবার স্বপ্ন সব সত্যি হবে, সত্যি হবে তোমার ভালোবাসা।সত্যি হবে বৃষ্টি দেখতে দেখতে সেই আগের মতন একসাথে কবিতা লেখা,বইমেলায় যাওয়ার আগের দিন দুজনের একসাথে বইয়ের লিস্ট করা।মিশে যাবে আবার সুচিত্রা ভট্টাচার্যের "নীল ঘূর্ণি" - বুদ্ধদেব গুহর "সাসানডিরিতে "। "একটু উষ্ণতার জন্য " লিখতে হবে "মহুলসুখার চিঠি ".
তোমায় কথা দিয়েছিলাম ভুলিয়ে দেবো ওই সময়টা,দশমীর পরে আলো ঝলমলে শহরটা যখন
নিমেষে অন্ধকার হয়ে যাবে, সেই হঠাৎ শূন্যতায় ভরে উঠবে আমাদের সেই পুরোনো ডায়েরি দুটো, ভারততীর্থর চেনা টেবিল, হাতিবাগানের পুজোর বাজার আবার হেসে বলবে "কি অনেকদিন পর যে?"ভাইফোঁটার পরে যখন শহরের হাওয়ায় শীতের
টান ধরবে, মনকেমনের সন্ধেগুলোয় সেই হিমেল হাওয়া ছুঁয়ে যাবে দুজনকেই।
হাতটা একবার ছুঁয়ে দেখো, কিছু টের পাচ্ছ ধমনী-শিরায়?জানলার পর্দাটা অল্প সরিয়ে রাখো , ফিসফিসিয়ে শুনতে পাচ্ছ কিছু আলগা হাওয়ায়?
ছাদের আলসের পাশে দাঁড়িয়ে আলগোছে দেখো ব্রিজের দিকে, দেখতে পারছো কাউকে আবছা আলো-ছায়ায়?

। " ফিরে এসো " ।

-


29 AUG 2023 AT 1:27

আবারও বালিশে চাপা একটা দীর্ঘ রাত,
অভিমানী গল্প শোনায় ভিজে ফুটপাথ,
নিকোটিন বারে বারে ছুঁয়ে যাচ্ছে আঙুল,
পুড়ছে, জ্বলছে এক ভেঙে যাওয়া মন,
হাল্কা হাওয়ায় পর্দা উড়ছে অল্প,
মনে রয়ে যাক তোমার বিশ্বাসঘাতকতার গল্প,
আমি হেরে গিয়েও জিতেছি যে সামনে আয়নার
তুমি জিতে গিয়েও সারাজীবন হারবে বারবার।











-


28 AUG 2023 AT 0:59

ভালোবেসে আমি চেয়েছিলাম কিছুটা সময় আর
কিছু মনকেমনের বিকেল,চেয়েছিলাম এই ভালোবাসার শহরে হেঁটে পাড়ি দেবো কিছু সাঁঝবেলার সন্ধে। চেয়েছিলাম একটা দক্ষিণ-খোলা
ব্যালকোনি আর উত্তুরে হিমেল হাওয়া, চেয়েছিলাম
সকালে ধোঁয়া ওঠা কফি-কাপ সাথে তোমার প্রিয়
প্রজাপতি বিস্কুট।
চেয়েছিলাম ব্রড-স্ট্রিটের মোমো,কখনো বা লেক মলের মাসকাবারি,তোমার প্রিয় মাখনা, কখনো বা dairy মিল্ক silk।
চেয়েছিলাম ঘুম ভাঙুক আমাদের অঞ্জনের "বেলা বোস" বা শিলাদার "জল ফড়িংয়ে",
চেয়েছিলাম Unplanned leave আর দুজনের পিঠে রুকস্যাক,কখনো একসাথে "ফেলুদা "অথবা
"তারানাথ তান্ত্রিক ".
চেয়েছিলাম ভোর চারটের অ্যালার্ম আর রেডিওয়
মহালয়া।
তুমি চাইলে রূঢ় বাস্তব আর অনুভূতিহীন শুস্ক দুপুর,ভালোবাসা মানে অভাবের জানলা আর শাসনের সীমারেখা। তুমি বললে মুক্তি চাই, toxicity
চাইনা, যাকে ভালোবাসিনা-কিভাবে সারাজীবন
কাটাবে জানোনা,
বাধা দিলাম, প্রানপনে আটকালাম খাঁচায় -কিন্তু
তুমি যে মুক্ত বিহঙ্গ, কোন খাঁচা বেশিদিন আর তোমায় আটকায়?
সেই একলা বারান্দাটায় উত্তুরে হাওয়া এখনও তেমনই বয়ে যায়,ধুলোপড়া রুকস্যাক ঝুলে থাকে নোনাধরা দেওয়ালের কোনায়।


-


Fetching Ramanuj Banerjee Quotes